• প্রথম পাতা
  • আরবী সাহিত্যে শাইখুল হাদিস সেমিনার
    • হযরত পাহাড়পুরী হুজুর দা: বা:
    • শাইখুল হাদিস আল্লামা আশরাফ আলী
    • মুফতি আব্দুল মালেক দা: বা:
    • মাওলানা আব্দুল মতিন বিন হুসাইন
    • মুফতি মাহফুজুল হক দা:বা:
    • মাওলানা শহিদুল্লাহ ফজলুল বারী ও উবায়দুর র
    • মাওলানা আব্দুল জব্বার দা: বা:
    • ড: শামসুল হক সিদ্দিকি দা:বা:
    • মাওলানা যায়নুল আবেদীন
  • শাইখুল হাদিস কনফারেন্স
    • উলামা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বক্তব্য প্রö
    • উলামা ওরাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের আলোচনা-২
    • উলামা ওরাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের আলোচনা-৩
    • হাফেজ উমর রহ:
    • শাইখূল হাদিস মামুনুল হকের ভাষণ
    • তারানা- সাঈদ আহমাদ
  • রাহমানিয়া ছাত্র কাফেলা স্মৃতি আলোচনা
    • স্মৃতি আলোচনায় মাওলানা মামুনুল হক
    • স্মৃতি আলোচনায় মুফতি সাঈদ আহমাদ
  • জীবনের বাঁকে বাঁকে
    • আব্বার শাসন ও সযত্ন অনুশীলন
    • আমার আম্মার কথা
    • লেখাপড়ার সুচনা
    • হযরত শামছুল হক ফরিদপুরীর সাহচার্য আমার জী
    • আমার তালিম ও তরবিয়াতে হযরত ফরিদপুরির দরদ ও &#
    • হযরত রফিক আহমাদ কাশ্মিরী রহ. এর কথা
    • হাদিসে রাসুল সা. এর প্রথম পরশ
    • দাড়িয়ে তব দুয়ার মাঝে
    • অধমের মাথায় হযরত থানভীর পাগড়ি
    • হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ.
    • হুজুরের স্নেহের একটি নমুনা
  • সরাসরি সম্প্রচার
  • প্রধান কলাম সমূহ
    • বিদায় বাংলার শাইখুল হাদিস
    • উলামায়ে দেওবন্দের পতাকাবাহী
    • এক আল্লাহ ছাড়া কারো ভয় ছিল না
    • শাইখুল হাদিসকে যেমন দেখেছি
    • শাইখুল হাদিস রহ. স্মরণে
    • আমার জীবনের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ শিক্ষক
    • হেফাজতে দ্বীনের জন্য শায়েখের আদর্শ গ্রহন 
    • শাইখুল হাদিসের স্মৃতিকথা, তাযকিরাতুল আজিö
    • শাইখুল হাদিস অনুদিত বুখারী শরীফ
    • জীবনের বেলাভূমিতে প্রিয়তম শাইখুল হাদিস
    • নবী প্রেমের কবি
  • জীবনউপলদ্ধি
    • তার জীবন আমাদের উপমা
    • ঘরে বাইরে শাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক র
    • আদর্শ শিক্ষক যার শ্রেষ্ঠ পরিচয়
    • শাইখুল হাদিসের জীবনী পাঠ্য করা হোক
    • মওতুল আলেমি মওতুল আলমি
    • আজ আমি এতিম
    • অনন্য শাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক
    • তিনি আমাদের বুখারীর ইমাম
    • আললামা
    • গন্তব্যে আমৃত্যু অবিচল
    • তিনি কোটি মানুষের প্রেরনা
    • দ্বীনের সফল মহানায়ক
  • গবেষনা
    • হকের উপর অটল এক ব্যক্তিত্ব
    • অসাধারন গুনাবলীর অপূর্ব সমাহার
    • হাদিস চর্চায় কালজয়ী অবদান
    • আমার দেখা শাইখুল হাদিস
    • তিনি কেন অসাধারণ
    • ঈমানদীপ্ত এক বীরের গল্প
    • রহমানিয়া ও শাইখুল হাদিস রহ.
    • আপনি ঘুমাতে পারেন না
    • রাজনীতিবিদ শাইখুল হাদিস
    • বাবরী মসজিদ লংমার্চ
  • অনুভূতি
    • আমার অনুভূতি
    • দীনের দরদী খাদেম
    • তার সাথে আমার জীবনাচার
    • শাইখুল হাদিসকে যেমন দেখেছি
    • হাদিসের দিকপাল
    • মহানুভবতার উজ্জল দৃষ্টান্ত
    • ইলম ও আমলের প্রানময় বটবৃক্ষ
    • স্বপ্নের ফেরিওয়ালা
    • শাইখুল কুরআন
    • আদর সোহাগে গড়েছেন এক আদর্শ পরিবার
    • যে রত্ন আজ হারিয়ে খুজিঁ
  • স্মৃতি আলোচনা
    • প্রিয় রাহবারের শবযাত্রার মিছিলে ৩০ ঘন্টা
    • কতো স্মৃতি কতো কথা
    • সুযোগ পেলেই তার কপালে চুমু খেতাম
    • স্মৃতির পাতায় শাইখুল হাদিস
    • যার জিকিরে গুন্ঞ্জরিত মাদরাসা
    • শাইখুল হাদিস জিন্দাবাদ নয়
    • স্মৃতিগুলো জেগে থাকে মনে
    • স্মৃতি ও স্বপ্ন
    • স্মৃতিতে শাইখুল হাদিস
    • স্মৃতিগুলো এলোমেলো
    • মনের মুকুরে
    • সবই আছে শুধু নানাজি নেই
    • স্মৃতির পাতায় শাইখুল হাদিস
  • একান্ত সাক্ষাতকারে শাইখুল হাদিস
  • শাইখুল হাদিসের বৈচিত্রময় জীবন-সাধনা
    • বংশ ও পূর্ব পুরুষ
    • জন্ম ও শৈশব কাল
    • শিক্ষা জীবন
    • উল্লেখযোগ্য শিক্ষকবৃন্দ
    • শিক্ষকতা
    • রচনা ও সংকলন
  • স্মৃতি তারানা
    • তুমি সত্য ন্যায়ের বাতি
    • এতিম হলো দেশ
    • তার বিদায়ে কেঁদেছে মানুষ
  • ছবি গ্যালারী

শাইখুল হাদীস রহ. কত স্মৃতি কত কথা  

মাওলানা নোমান আহমদ

১৯ রমযান। ১৪৩৩ হিজরি। হঠাৎ করে মোবাইল ফোন বেজে উঠল। ফোন ধরেই আওয়াজ পেলাম, আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। আপনি কি জানতে পেরেছেন, হযরত শাইখুল হাদীস রহ. দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন? বললাম, না। আপনার কাছ থেকেই সংবাদ পেলাম। দ্রুত শাইখুল হাদীস রহ. প্রতিষ্ঠিত জামিয়া রাহমানিয়ায় চলে এলাম। গেটেই জিজ্ঞেস করলাম, শাইখুল হাদীস সহেব হুজুরের কী খবর? জানতে পারলাম, ঠিকই। কেবল মাত্র হুজুরের ইন্তেকালের সংবাদ এসেছে। মনটা খুব আনচান করে উঠল। কত স্মৃতি কত কথাই না হৃদয়পটে ভেসে উঠল।
শাইখুল হাদীস রহ. একটি  প্রতিষ্ঠান
শাইখুল হাদীস রহ. এর সাথে দীর্ঘ প্রায় দুই যুগের বেশি সময় কাটিয়েছি। তিনি একজন ব্যক্তি নন, বিশাল এক প্রতিষ্ঠান। বিচিত্রধর্মী অসাধারণ গুণাবলির অধিকারী এক মহামনীষী। পৃথিবীতে এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম।
একদিকে তিনি একজন প্রখ্যাত হাদিস বিশারদ শাইখুল হাদীস। অপরদিকে তিনি একজন দূরদর্শী রাজনীতিবিদ। তিনি একজন আদর্শ সমাজবিদ, একজন মর্মী কবি, একজন লেখক। উচ্চাঙ্গের আরবি সাহিত্যিক, অর্থনীতিবিদ, সংগঠক, সূফি সাধক, আশেকে রাসূল। একজন আদর্শ শিক্ষাবিদ, লক্ষ- কোটি আলিম ও জনতার শ্রদ্ধেয় মুরুব্বী। অসীম সাহসের অধিকারী, গাম্ভীর্যপূর্ণ এক মনীষী। অসংখ্য মসজিদ মাদরাসা ও দীনি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা। বাংলাদেশের প্রায় সকল উলামার ওপর তার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অবদান রয়েছে। তার জীবনের সবগুলো দিক নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা করার জন্য আরেকজন মহামনীষীর প্রয়োজন। আমাদের মতো সাধারণ মানুষ তার জীবনের কোনো একটি সাইড নিয়েও আলোচনা পর্যালোচনার যোগ্যতা রাখে না। মহব্বত ও ভালবাসার তাগাদায় তার কাছে থাকার সুবাদে দু’চার কলম লিখতে হচ্ছে বলে এ প্রবন্ধের অবতারণা। 
শাইখুল হাদীস রহ. এর গবেষণা    শাইখুল হাদীস রহ. এর কুরআন ও হাদিস গবেষণার দিকটি রীতিমতো বিস্ময়কর। দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টা হাদিস এবং কুরআন নিয়ে ফিকির করতেন। দীর্ঘ সময় এ কাজে ব্যস্ত থাকতেন। জামিয়া রাহমানিয়ায় অবস্থান কালে অনেক সময় বুখারি শরিফের ব্যাখ্যায় নতুন নতুন বিস্ময়কর তথ্য সংযোজন করে এত আনন্দ পেতেন যে, মাঝে মধ্যে তিনি আমাকে তার রুমে ডেকে নিতেন। আর দেখাতেন, দেখো! এ হাদিসের ব্যাখ্যায় এ বিষয়টি আমি সংযোজন করেছি। চোখে মুখে তখন তার আনন্দ। স্বর্গীয় সুখের বাস্তব নমুনা চেহারায় ফুটে উঠত। অনেক বার তার সাথে গাড়িতে করে বিভিন্ন সফরে সফর সঙ্গী হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। একটি মিনিটও বেকার নষ্ট করতেন না। গাড়িতে হয়ত পড়তেন, না হয় জিকির করতেন, না হয় কোন শিক্ষণীয় ঘটনা বলতেন। জিন্দেগিতে কখনো আমি তাঁকে কারও গীবত- শেকায়েত করতে দেখিনি। একাধিকবার বিমান সফরের সুযোগ হয়েছে তার সাথে। সেখানেও একই অবস্থা। মানুষ সাধারণত এসব সফরে বিনোদনের ফিকিরে থাকে। কিন্তু তিনি থাকতেন আল্লাহর দীনকে বিজয়ী করার গভীর চিন্তায় মগ্ন। মা’রিফাতে ইলাহির সমুদ্রে ডুবে থাকতেন। 
চমৎকার একটি ঘটনা
একবার ঢাকা থেকে বিমানে করে যশোর নামলাম। সেখান থেকে গাড়িতে করে একটি সমাবেশে যাচ্ছিলাম। গাড়িতে বসেই তিনি হযরত শাহ আবদুল আযীয মুহাদ্দিস দেহলভী রহ. এর একটি চমৎকার ঘটনা বর্ণনা করেছিলেন।
ঘটনাটি ছিল-  তার একনিষ্ঠ এক ছাত্র মাদরাসায় যাচ্ছিল। পথিমধ্যে তার সাথে একটি পরীক্ষামূলক ঘটনা ঘটেছিল। এক যুবতী বাসা থেকে ছেলেটিকে ডেকে নিয়ে যায়। সে ছেলে বুঝতে পারেনি। মহিলা তার কুমতলব চরিতার্থ করার জন্য তাকে বাসায় নিয়ে সবগুলো দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল। ভেতরে নির্জনতা। হযরত ইউসুফ আ. এর সাথে জুলায়খার যে ঘটনা ঘটেছিল ঠিক অনুরূপ ঘটনা। ছেলেটি ছিল আল্লাহ ওয়ালা। ভেতরে গিয়ে বুঝতে পারল,  মহিলা তার যৌন চাহিদা পুরণ করার জন্য ভয়ংকর এক ফাঁদে ফেলে তাকে বাসায় এনেছে। কিছুতেই সে এ কাজে রাজি হচ্ছে না। অবশেষে এক চিন্তা মাথায় এল। সে বলল, আমি একটু বাথরুমে যাব। সে গিয়ে নিজের পুরো শরীরে মলমূত্র মেখে সেখান থেকে বেরিয়ে এল। যুবতী তা দেখে তাড়াতাড়ি তাকে পাগল বলে ঘর থেকে বের করে দিল। আল্লাহ তাকে রক্ষা করলেন। 
এই ছেলে শাহ সাহেব রহ. এর ঘণ্টায় উপস্থিত হলো কিছুটা বিলম্বে। ঘণ্টায় উপস্থিত হওয়ার পর শাহ সাহেব রহ. জিজ্ঞেস করলেন, এখন কে ঢুকেছে? ছেলেটি বলল, আমি। জিজ্ঞেস করলেন, এত বিলম্ব হল কেন? সে পথের সে ঘটনার কথা তুলে ধরল। হযরত শাহ সাহেব রহ. বললেন, তাই তো তোমার শরীর থেকে এমন জান্নাতি সুঘ্রাণ বের হচ্ছিল যে, আমি মাতোয়ারা হয়ে গেছি। 
আল্লাহ তা’আলার ভয়ে কেউ গুনাহের কাজ বর্জন করলে দুনিয়াতেই কী ভাবে তা থেকে রক্ষা করেন ও সম্মানিত করেন এটি তারই এক জীবন্ত উদাহরণ। 
শশ্রƒমণ্ডিত নেককার এক লোকের শিক্ষাদান
এ সফরেই শাইখুল হাদীস রহ.-এর উসিলায় আমার বড় একটি উপকার হয়েছে। আমরা গন্তব্য সমাবেশে উপস্থিত হওয়ার পর দেখি সেখানে স্টেজ ও প্যান্ডেল সাজানোর কাজ এখনো বাকি আছে। যুবক ও স্থানীয় মুসল্লিরা কাজ করছেন। আমি গিয়ে প্যান্ডেলের এক পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম। দেখলাম, এক সুদর্শন নূরানী চেহারার গ্রামীণ বৃদ্ধ লোক আমার দিকে এগিয়ে এলেন। শশ্রƒমণ্ডিত নেককার লোকটিকে দেখেই আমার কাছে তার সততার নিদর্শন ভেসে উঠল। তিনি এসে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, আনি কোথাকার? কোত্থেকে এসেছেন? বললাম, ঢাকা থেকে এসেছি। তিনি অন্য কোনো কথা না বলে আমাকে বললেন, আপনি হজ্জ করেছেন? আমি বললাম, না, আমি হজ্জ করিনি। তিনি বললেন, আপনি প্রতিদিন শুধু হজ্জের উদ্দেশ্যে দু’রাকআত সালাতুল হাজত পড়বেন। ইনশাআল্লাহ! দ্রুত আপনার হজ্জের ব্যবস্থা হবে। মনে মনে ভাবলাম, সালাতুল হাজত তো পড়াই আমরা। ছাত্রদেকে এ বিষয়ে শেখাই। কিন্তু আজকে তিনি আমাকে শিখাচ্ছেন। কেন যেন আমার মনে হলো এ এক ফেরেশতার মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলা আমাকে শেখাচ্ছেন। আমি সেদিন থেকেই উক্ত নিয়তে দু’রাকআত করে পড়তে আরম্ভ করলাম। বেশি দিন যায়নি, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আল্লাহ তা’আলা আমার হজ্জের ব্যবস্থা করে দিলেন। প্রিয় পাঠক/পাঠিকা! আপনারাও এ আমলটুকু করে অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারেন। আপনাদেরও আল্লাহ তা’আলার হজ্জের ব্যবস্থা করে দিতে পারেন। 
সরলতা
শাইখুল হাদীস সাহেব রহ. সারাটি জীবন সহজ সরল ভাবে কাটিয়েছেন। চলাফেরা, পোশাক-আশাক, খাওয়া-দাওয়া, কথাবার্তা, আচার-আচরণ ছিল অহংকারমুক্ত একদম সাদামাটা। নিজের বাজার তিনি নিজে করতেন। বাসা থেকে অনেক সময় হেঁটে হেঁটে তিন চার মাইল চলে আসতেন। মাদরাসায় থাকাকালীন সময়ে অনেক সময় আমার সিটে এসে বসতেন। বলতাম, হুজুরের জন্য একটি আইসক্রিম নিয়ে আসি? তিনি মৃদু হাসি দিয়ে বলতেন, আচ্ছা ঠিক আছে নিয়ে আসো। একাধিকবার এরকম আমার সিটে বসে বাটি আইসক্রিমগুলো মজা করে খেয়েছেন এবং আমাদের মনে আনন্দ দিয়েছেন। এ সামান্য ঘটনাগুলোও আজ আমাদের জন্য বিরাট শিক্ষণীয় ও আনন্দদায়ক। 
একটি স্বপ্ন
জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি ধর্মপ্রাণ আলেম প্রিয় মনীষী আবদুল ওয়াদুদ খান রহ. বলেছেন- 
একদিন আমি স্বপ্নে দেখি, রাসূলে আরাবি সা. আমাকে নিয়ে ঢাকার বাইরে একটি জায়গা দেখিয়ে বললেন, আবদুল ওয়াদুদ! এখানে একটি মাদরাসা করার প্রয়োজন। আমি ঘুম থেকে উঠে জায়গাটি খুঁজে  বের করার জন্য গাড়ি নিয়ে বের হলাম। অনেক খোঁজার পর নারায়ণগঞ্জ ঝালকুনিতে জায়গাটি পেলাম। 
 সেখানে তিনি সাতচল্লিশ শতক জায়গা ক্রয় করে দেড়শ হাত লম্বা একটি বিল্ডিং তৈরি করেন। এখন কাকে দিয়ে মাদরাসা উদ্বোধন করাবেন চিন্তা করছিলেন। এর মাঝে একবার স্বপ্নে দেখেন, মদিনা মুনাওয়ারায় এক বিশাল সমাবেশ। সেই সমাবেশে হযরত সাহাবায়ে কেরাম, গাউস, কুতুব, অলি-আউলিয়া অনেকেই আছেন। আবদুল ওয়াদুদ সাহেব বলেন, আমাদের শাইখুল হাদীস রহ.ও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ইতোমধ্যে হযরত আবু বকর সিদ্দীক রা. এর চোখে আমার চোখ পড়ে। তিনি আমাকে ইশারায় ডাকলেন। আমি কাছে গেলে তিনি আমাকে বললেন, তুমি মাদরাসা উদ্বোধন করা নিয়ে চিন্তা করছ? তিনি আমাকে শাইখুল হাদীস রহ. এর দিকে ইশারায় দেখিয়ে বললেন, তাকে দিয়ে উদ্বোধন করবে। কেনো তাকে দিয়ে করবে? এজন্য যে, তাকে নবীজি সা. ভালোবাসেন। 
সদিন রাত্রে মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিসবাহ রহ. তার বাসায় ছিলেন। তিনি তাকে বললেন, ভাই মিসবাহ!  আমাকে  মাওলানা আজিজুল হক সাহেবের কাছে নিয়ে চলুন। তাঁকে দাওয়াত দিন। আমি মাদরাসা উদ্বোধন করবো। এতদশ্রবনে  শাইখুল হাদীস রহ. সব কাজ বন্ধ রেখে  সেদিন সারা দিবস শুধু দুরূদ শরিফ পড়েছিলেন। 
এ থেকে সহজেই অনুমেয়, শাইখুল হাদীস রহ. কোন পর্যায়ের আলিম ও আশিকে রাসূল সা. ছিলেন।
বুখারি শরিফের খেদমত 
হযরত শাইখুল হাদীস রহ. বুখারি শরিফের খেদমত করেছেন। দীর্ঘ ৬০ বছর পর্যন্ত এর দরস দিয়েছেন।  আনুষ্ঠানিক আধুনিক শিক্ষার জন্য তিনি প্রাইমারি স্কুলেও যাননি। কিন্তু বিশ্ব বিখ্যাত বুখারি শরিফের সুবিশাল ব্যাখ্যাগ্রন্থ বাংলা ভাষায়  তিনি তৈরি করেছেন। এ এক আশ্চর্য ব্যাপার। বাংলা ভাষায় দীনি চর্চা হযরত শাইখুল রহ. এর একটি দূরদর্শী ও গবেষণামূলক পদক্ষেপ। তিনি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন, বাংলাদেশ ও ভারত মিলে প্রায় পঁয়ত্রিশ কোটি মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে। এদের কাছে দীনি দাওয়াত পৌঁছাতে হলে বাংলা ভাষার বিকল্প নেই। তাই তিনি এমন সময় বাংলা ভাষায় বুখািরর ব্যাখ্যাগ্রন্থে হাত দিয়েছেন যখন সাধারণত উলামায়ে কিরাম এর প্রতি কোনো গুরুত্বারোপই করতেন না। এটি তার একটি তাজদিদি কারনামাই বটে। বুখারি শরিফের এ ব্যাখ্যাগ্রন্থ সম্পর্কে সপ্রশংস মন্তব্য উলামায়ে কিরাম ও জনসাধারণের। বর্তমান সময়ের উলামায়ে কিরাম এর দ্বারা বিশেষভাবে উৎসাহিত হয়েছেন। আজকে তারা যেভাবে বাংলা ভাষা চর্চায় নিমগ্ন হয়েছেন এরূপ চলতে থাকলে আশা করি কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলা ভাষায় দীনি গ্রন্থাবলি ও পত্র-পত্রিকার পিরামিড তৈরি হবে।
তাফসিরুল কুরআন ও শাইখুল হাদীস রহ.  
তিনি তাফসীরুল কুরআনের ক্ষেত্রেও ছিলেন মহাপাণ্ডিত্বের অধিকারী। জামিয়া রাহমানিয়ায় তিনি কিছুদিন জালালাইন শরিফও পড়াতেন। আমিও সে ক্লাসে বসার চেষ্টা করতাম। কখনো আমার এ ধারণা ছিল না যে, জালালাইন শরিফের প্রতিটি শব্দেই প্রায় একেকটি উহ্য প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়েছে। শাইখুল হাদীস সাহেব রহ. এর ক্লাসে বসার পরই আমি তা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করতে পেরেছি। এসব প্রশ্নোত্তর সাধারণ ব্যাখ্যাগ্রন্থগুলোতে আমরা খুঁজে পাই না। এগুলো তিনি পেয়েছেন সিনা-ব-সিনা তার সুযোগ্য আসাতিজায়ে  কেরামের কাছ থেকে। তাফসিরের ক্ষেত্রে তার এই পাণ্ডিত্যের বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি বলেছিলেন, আমি এগুলো অর্জন করেছি আমার উস্তাদ আল্লামা রফিক আহমদ কাশ্মীরি রহ. থেকে। ইলমী যে কোন বিষয়ে আলোচনা করতে দিলে তার বিশাল জ্ঞানগর্ভের পরিচয় পাওয়া যেত। হবেই না বা কেন! তিনি তো ছিলেন শাইখুল ইসলাম হযরত  আল্লামা শাব্বীর আহমদ উসমানী, আল্লামা জফর আহমদ উসমানী, আল্লামা শামসুল হক ফরিদপুরী, ইসলামি আন্দোলনের বীর সিপাহসালার হাকীমুল উম্মতের বিশিষ্ট খলীফা হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ.সহ ইলমী জগতের সুমহান দিকপালদের প্রিয় ও প্রসংশিত মেধাবী শিষ্য। আল্লাহ তা’আলা তাঁদের উলূম ও হিকমত তার মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে ব্যাপক আকারে পৌঁছিয়েছেন।    
শাইখুল হাদীস রহ.-এর সংগ্রামী জীবন 
তার জীবনী পর্যালোচনা  করলে আমরা দেখতে পাই- জ্ঞান চর্চা ও ইলমী সাধনার পাশে তিনি ছিলেন রাজনীতি সচেতন। তিনি ছিলেন, জুলুম ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোসহীন সংগ্রামী। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন, আইয়ুব খানের ইসলাম বিরোধী পারিবারিক আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, তাসলিমা নাসরিনের কুরআন বিরোধী লেখালেখির বিপক্ষে জনমত গঠন, ফতোয়া বিরোধী অপতৎপরতার দাঁতভাঙা জবাব দান তথা সর্বপ্রকার বাতিল বিরোধী আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল প্রসংশিত ও গুরুত্বপূর্ণ ও সক্রিয়। হাফেজ্জী হুজুরের তওবার রাজনীতিতে তার ভূমিকা ছিল শীর্ষ পর্য়ায়ের। ১৯৮৯ সালে তিনি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর হিসাবে ইসলামী ঐক্যজোট গঠন এবং  ঐ জোটের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। 
১৯৯৩ সালে তিনি অযোধ্যা অভিমুখে স্মরণীয় ৬/৭ লাখ মানুষের ঐতিহাসিক লংমার্চের নেতৃত্ব  দেন। যশোর সীমান্তে বাংলাদেশ রাইফেল এবং বাংলাদেশ পুলিশের গুলিবর্ষণে ২ জন শহীদ হন। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এ লংমার্চ অসাধারণ গুরুত্ব পায়। 
১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের নাস্তিক মুরতাদ কর্তৃক মহানবী রা. এর ব্যাপারে অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদে দেশব্যাপী সর্বাত্মক হরতাল পালনে নেতৃত্ব দেন। 
১৯৯৭ সালে চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দাদের জন্য মুসলিম নাগরিকদের স্বার্থ বিরোধী  তথাকথিত পার্বত্য পানি চুক্তির বিরুদ্ধে লংমার্চ ও মহাসমাবেশে  নেতৃত্ব দান করেন। তা’লীমুল কুরআন  সংগঠন, নেজামে ইসলাম পার্টি, বেফাকুল মাদারিস প্রভৃতি সংগঠনের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। 
মুসলিম বিশ্বের ঐক্য ও সংহতি সুদৃঢ় করার স্বার্থে হযরত হাফেজ্জী হুজুরের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি মিশনের সফর সঙ্গী হিসাবে তার মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করেন। বিশেষত ইরাক ইরানের সুদীর্ঘ আট বছর ব্যাপী ভ্রাতৃঘাতী যুদ্ধ নিরসনের চেষ্টায় প্রথমে ইরানি নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি ও পরে ইরাকি নেতা সাদ্দাম হোসেনের সাথে সরাসরি আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ও তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এ সফরে হজ্জের মৌসুমে সৌদি আরবের ধর্মীয় প্রধান আবদুল্লাহ বিন বাযের সঙ্গেও মিলিত হয়ে মুসলিম বিশ্বের ঐক্য ও সংহতি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। ইরান সফরকালে তেহরানের কেন্দ্রীয় মসজিদে মুসলিম বিশ্বের ঐক্য, সংহতি ও খেলাফত প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে আরবি ভাষায় সুদীর্ঘ ভাষণ দান করেন। 
১৯৮৫ সালে ‘লন্ডন মুসলিম ইনস্টিটিউটের আমন্ত্রণে হাফেজ্জী হুজুরের  সফরসঙ্গী ও মুখপাত্র হয়ে লন্ডন সফরে যান এবং হাফেজ্জী হুজুরের পক্ষ থেকে ‘ খেলাফত আলা মিনহাজিন নবুওয়াহ’ অর্থাৎ, নবীজি প্রদর্শিত পদ্ধতিতে খেলাফত প্রতিষ্ঠা বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন। 
তার জীবন বিশ্লেষণে  দেখি বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্ব দানের জন্য কারাবরণ করে বিশ্বনবীর তায়েফের  সুন্নত অনুসরণের অনুপম দৃষ্টান্ত। 
কালের স্রোতে গা ভাসাননি
শাইখুল হাদীস রহ. এর একটি বৈশিষ্ট্য হল, তিনি কালের স্রোতে গা ভাসানোর চেষ্টা করেননি। অনেকেই জানেন, হযরত শাইখুল হাদীস রহ. প্রত্যক্ষ্যভাবে খোমেনি সাহেবকে কাফির বলেননি। এ কারণে অনেকেই তাকে শিয়া বলেও গালাগালি করেছেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, উলামায়ে দেওবন্দের মতানুসারে কোনো ব্যক্তি বিশেষের ব্যাপারে কুফুরির সুনির্দিষ্ট ও অকাট্য দলিল প্রমাণ না পেলে কুফুরির ফতোয়া দেয়া ঠিক নয়। একারণেই তিনি খোমেনি সাহেবকে কাফির বলেননি। তিনি নিজেই বলেছেন, যে সমস্ত কুফুরি আকীদা রয়েছে যারা এ ধরনের কুফুরি আকীদায় বিশ্বাসী তারা দলীয়ভাবে কাফির। এটা বলা যায়। কিন্তু সুনির্দিষ্ট ব্যক্তি সম্পর্কে কুফুিরর নির্দিষ্ট ও অকাট্য প্রমাণাদি না পেয়ে শুধু আন্দাজ অনুমাণ ও উদ্বৃতির ভিত্তিতে কাউকে কাফির বলা ঠিক নয়। এ বাস্তবতা পরবর্তীতে অনেকেই স্বীকার করেছেন। সতর্কতার পথ বস্তুত এটাই। 
জাতির প্রতি আন্তরিক দরদ  
যখনই মুসলমানরা নির্যাতিত হয়েছে, ইসলামের ওপর আঘাত এসেছে, শাইখুল হাদীস রহ. তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর কর্মসূচি দিয়ে সব জুলুম ও অন্যায়ের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সত্যের পক্ষে লড়াই করার জন্য তিনি অনেকবার জেল জুলুমের শিকার হয়েছেন। রক্তাক্ত শরীর নিয়ে তিনি রাজপথে নেতৃত্ব দিয়েছেন। 
ঐতিহাসিক লংমার্চ
বাবরী মসজিদ শহীদ হওয়ার পর ঐতিহাসিক লংমার্চ কর্মসূচী ঘোষণা করেছিলেন তিনি। তার ডাকে বাংলাদেশের অন্তত সাত লক্ষ লোক ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত স্বতঃস্ফূর্তভাবে লংমার্চে অংশগ্রহণ করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। জাতীয় পত্র-পত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়া সারাবিশ্বব্যাপী তখন এর ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়েছিল। লংমার্চের সময় শাইখুল হাদীস রহ. কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেভাবে রক্তাক্ত করা হয়েছিল, যেভাবে তাকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছিল, সেদিন তিনি নায়েবে নবী ও তার যোগ্য উত্তরসূরির পরিচয় দিয়েছিলেন। আকাবিরের ত্যাগ ও কুরবানির বাস্তব চিত্র সেদিন দেখা গেছে। তার পা থেকে রক্ত ঝরছিল, শরীরের বিভিন্ন স্থান থেকে রক্ত পড়ছিল।  লোকজন তাকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য জোর করছিল। তখনো তিনি ছিলেন আপন লড়াইয়ে অবিচল । সামান্যও ঘাবড়াননি। বলেছেন, আমি এমন আহত হইনি যে, আমাকে এক্ষণি হাসপাতালে যেতে হবে। তিনি বলেছিলেন, ‘মসজিদ রক্ষার আন্দোলন এবং মজলুম মুসলমানদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য যে কর্মসূচি আমি দিয়েছি, সেই কর্মসূচী ছেড়ে তোমরা কেনো আমাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছো? কেন তোমরা আমাকে আমার কমসূচিতে বাধা দিচ্ছ?’ এ ছিল জাতির প্রতি দরদ।  
একটি বিরল কৃতিত্ব
শাইখুল হাদীস রহ.-এর একটি বিরল কৃতিত্ব হলো, তিনি তার গোটা পরিবারে আলেম ও হাফেজ তৈরি করেছেন অসংখ্য। আমি কোথাও শুনিনি একজনের পরিবারে তার জীবদ্দশায় ৭৫ জন কুরআনে হাফেজ হয়েছেন। তার পরিবারে তার জীবদ্দশাতেই ৭৫ জন হাফেজে কুরআন হয়েছেন। সদকারেয় জারিয়ার জন্য আর কিসের প্রয়োজন?
শাইখুল হাদীস সাহেবের গ্রন্থাবলী 
১. বুখারি শরিফের বাংলা ব্যাখ্যা,
২. ফজলুল বারী শরহে বুখারি (উর্দূ)
৩. হাদিসের ছয় কিতাব
৪. মাআরিফে মছনবি
৫. মুনাজাতে মাকবুল বাংলা
৬. সত্যের পথে সংগ্রাম
৭. সফল জীবনের পথে
৮. মদীনার টানে ৯. পুঁজিবাদ সমাজবাদ ও ইসলাম
স্বনির্বন্ধ প্রস্তাবনা
শাইখুল হাদীস  সাহেবের মতো একজন মনীষী যদি পৃথিবীর কোনো উন্নত রাষ্ট্রে বা ভারত- পাকিস্তানেও হতেন, তবে তার প্রতিটি কথা, কাজ ও  অনুমোদন বিভিন্নভাবে সংরক্ষণের চেষ্টা করা হতো। তাঁকে নিয়ে বিভিন্নভাবে গবেষণা করা হত এবং দল, জাতি, মত পথ নির্বিশেষে সবার কাছ থেকে বিভিন্ন কাজের ওপর স্বীকৃতি পাওয়া যেতো। আমরা বেঁচে থাকতে তার মূল্যায়ন করতে পারিনি, অন্তত মৃত্যুর পরে হলেও তাকে মূল্যায়ন করার সবিনয় অনুরোধ করছি। এবং কয়েকটি বিষয়ে প্রস্তাবনা পেশ করছিÑ 
১. তার নামে একটি গবেষণা ফাউন্ডেশন হতে পারে। 
২. তার নামে একটি জাতীয় গ্রন্থাগার হতে পারে। 
৩. তার লেখা বাংলা, উর্দূ, আরবি গ্রন্থগুলোর বর্তমান যুগোপযুগী করে উন্নত ব্যবস্থাপনায় প্রকাশ ও প্রচারণার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। 
৪. তার মনের চাহিদা অনুযায়ী অসম্পূর্ণ কাজগুলো দ্রুত সম্পন্ন করা যেতে পারে।
 ৫. বিশেষভাবে যেসব মাদরাসায় তিনি অধ্যাপনার কাজে রত ছিলেন সেগুলোর পক্ষ থেকেও তার জীবনীগ্রন্থ ছাপা ব্যবস্থা করা যেতে পারে। 
৬. তার জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণামূলক একটি সুবিশাল জীবনিগ্রন্থ প্রকাশ করা জরুরি। এতে যেন দল মত নির্বিশেষে জাতীয় নেতৃবৃন্দ থেকে নিয়ে সব ধরনের লোকের মতামত স্থান পায় সে ব্যবস্থা করা আবশ্যক। 
৭. তার জন্য বিশেষভাবে দোয়ার ব্যবস্থা করা দরকার।  
 
লেখক : সিনিয়র মুহাদ্দিস, জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া ঢাকা

Powered by Create your own unique website with customizable templates.